শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন। প্রতিবছরে এই দিনের জন্য হাজার মানুষ অপেক্ষায় থাকে। ঠিক প্রতেক বারের মতো এইবারো অনেক মানুষ শবে বরাতের অপেক্ষায় আছে।

শবে-বরাত-২০২৫-কত তারিখে-জেনে-নিন
এছাড়াও আপনি কি শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে বাংলাদেশ তা জানতে চান তাহলে এই পোস্ট টি বিস্তারিত পড়ুন কেননা এখানে রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পোস্টের সূচিপত্র:- শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন? শবে বরাত নির্ভর করছে চাঁদ দেখার উপর। চাঁদ দেখা কমিটির তথ্যের উপর নির্ভর করে বলা যায় যে, এই বছরের শবে বরাত ১৪/১৫ ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বা শনিবারে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই বলা যায় যে, শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে? ১৪/১৫ ই ফেব্রুয়ারি শনিবারে হবে।

শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে বাংলাদেশ

শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে বাংলাদেশ? শবে বরাত নির্ভর করছে চাঁদ দেখার উপর। চাঁদ দেখা কমিটির তথ্যের উপর নির্ভর করে বলা যায় যে, এই বছরের শবে বরাত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি শনিবারে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই বলা যায় যে, শবে বরাত ২০২৫ বাংলাদেশে কত তারিখে হবে ? ১৫ ই ফেব্রুয়ারি শনিবারে হবে।

শবে বরাত ২০২৫ ছুটি কবে

শবে বরাত ২০২৫ ছুটি কবে? শবে বরাত একদিনেই হয়ে যায়। যেহেতু এটা একটা রাত জেগে ইবাদত। তাই সাধারণত এর পরের দিন ছুটি থাকে সকল প্রতিষ্ঠান। ১৪/১৫ ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বা শনিবারে শবে বরাত অনুষ্ঠিত হলে এর পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ই বা ১৬ই ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকবে।

শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ

শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ? শবে বরাত হলো ইসলামী ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যরাত। এই রাতকে মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ অংশ বিশেষভাবে পালন করে। তবে শবে বরাত পালনের ব্যাপারে ইসলামী পণ্ডিতদের মধ্যে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে।

শবে বরাত পালনের পক্ষে যুক্তি এটাই যে অনেকে বিশ্বাস করেন এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। এই রাতে দীর্ঘ নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারের মাধ্যমে ইবাদত করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন এই রাতে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করা যায়।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শবে বরাত- ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, যা একতা এবং সুন্দর চরিত্র গঠনের উপর বিশেষ ভাবে জোর দেয়। কোনো নির্দিষ্ট রাতকে বিশেষভাবে পালনের পরিবর্তে ইসলাম সর্বদা সৎকর্ম, নামাজ, রোজা, যাকাত এবং হজ্জের মতো ইবাদত গুলোকে আগে গুরুত্ব দেয়।

শবে বরাত কিসের জন্য পালন করা হয়

শবে বরাত কিসের জন্য পালন করা হয়? শবে বরাত মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ দিন এবং এটি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে পালন করা হয়ে থাকে আর সেই বিশেষ উদ্দেশ্য হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ আর নিজের পাপ কাজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করা। আরবি শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতে সাধারণত এটি পালিত হয়। 

আরো পড়ুন:- শবে মেরাজ কবে 2025 সালের- শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

শবে বরাত পালনের বিশেষ একটা উদ্দেশ্য আছে। মুসলমানদের একটা ধারণা আছে আর তা হলো এ রাতে পরবর্তী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অনেকে এই দিনে সারা রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করে রোজা রাখে, নামাজ পড়ে, মিসকিনদের দান খয়রাত করে এবং আল্লাহর থেকে এই রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করলে গুনাহ মাফ হবে বলে হয়।

শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস কি

শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস কি? শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস ও এর ফজিলত নিয়ে ইসলামী পণ্ডিতদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলে। সুনির্দিষ্টভাবে এই রাতকে উল্লেখ করে কোনো সহীহ হাদিস পাওয়া যায় না। তবে কিছু হাদিস রয়েছে যা থেকে এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন:- শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

যেসব হাদিসে শবে বরাতের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সুনানে ইবনে মাজাহতে বলা আছে:- হযরত আলি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি বলেছেন, যখন শাবান মাসের অর্ধেক রজনী চলে আসে তখন তোমরা রাতে নামাজ পড়ো ও দিনের বেলা রোজা রাখো।

সুনানে ইবনে মাজাহতে বলা আছে:- আবু মুসা আল আশআরী থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (স) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মধ্য শা'বানের রাতে সমস্ত সৃষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেন ও মুশরিক (আল্লাহর সাথে শিরককারী) এবং মুশাহিন মানে হিংসুক ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।

শবে বরাত সম্পর্কে বিভিন্ন মত:- উপরের হাদিস থেকে অনেকে বিশ্বাস করেন, এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। হাদিসে নামাজ ও রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে, যা ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করে। অনেকে বিশ্বাস করেন এই রাতে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করা যায়।

শবে বরাত পালন: একটি বিতর্কিত বিষয় আর এই শবে বরাত পালনের ব্যাপারে ইসলামী অনেক মানুষের মধ্যে ব্যাপক মত ভেদ লক্ষ্য করা যায়। কিছু ব্যক্তি একে ইসলামী শিক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে করেন না। তাদের মতে, এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট কুরআনের বা সহীহ হাদিসের দলিল পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, অনেক মুসলমান এই রাতকে বিশেষ ভাবে পালন করে সারারাত আল্লাহর ইবাদতের মগ্ন থাকে অধিক সওয়াবের আশায়। 

শবে বরাত কেন পালন করা হয়

শবে বরাত কেন পালন করা হয়? শবে বরাত মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ দিন। আরবি শাবান মাসের পঞ্চদশ রাতে সাধারণত এটি পালিত হয়। এই  শবে বরাত পালিত হয় প্রধানত সৌভাগ্য রজনী হিসেবে।

শবে বরাত পালনের বিশেষ একটা উদ্দেশ্য আছে। মুসলমানদের একটা ধারণা আছে আর তা হলো এ রাতে পরবর্তী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। অনেকে এই দিনে সারা রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করে রোজা রাখে, নামাজ পড়ে, মিসকিনদের দান খয়রাত করে এবং আল্লাহর থেকে এই রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করলে গুনাহ মাফ হবে বলে হয়।

শবে বরাত এর দোয়া কি জানুন

শবে বরাত এর দোয়া কি জানুন। শবে বরাত হলো মুসলিমদের জন্য একটি বিশেষ রাত। এই রাতে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাঁর কাছে দোয়া করে।

শবে বরাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই: ইসলামে শবে বরাতের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দোয়া উল্লেখ করা বলা হয়নি। যেকোনো নফল নামাজের পর যেসব দোয়া করা হয়, সেগুলোই শবে বরাতের রাতে করা যেতে পারে। আল্লাহর কাছে নিজের ভাষায় আন্তরিকভাবে দোয়া করা সবচেয়ে উত্তম। শবে বরাতে করা যায় এমন কিছু দোয়া:

ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া:- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি। অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।

আল্লাহুম্মা রহমনি কমা রাহমতাল আবদাক দাউদ। যার অর্থ: হে আল্লাহ, আমার উপর দাউদ (আঃ)-এর উপর তুমি যে রহমত করেছিলে, সে রকম রহমত করুন।ইহদিনা الصِّراطَ المُستَقِيمَ। (অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন।)رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا (রাব্বি জিদনি ইলমান) (অর্থ: হে আমার রব, আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।)

শবে বরাতে কি করা উচিত নয়। ইসলামে নতুন কোনো আমল যোগ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। যে সম্পর্কে আপনি নিজেই অবগত না সে সম্পর্কে অন্যকে বলে বিভ্রান্ত না করাই ভালো হবে। কোনো অন্ধবিশ্বাসের পেছনে না পড়া। কেউ কিছু বললে তা সঠিক না ভুল যাচাই করুন। সব সময় সুন্দর আচরণ করা উচিত।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া। শবে বরাতে বিশেষ কোনো নামাজ নেই। তবে এই রাতে নফল নামাজ পড়া উৎসাহিত করা হয়। নফল নামাজ অন্যান্য দিনের নফল নামাজের মতোই পড়া হয়।

নামাজের নিয়ম: নামাজ শুরুর আগে নিজের মনে এই নিয়ত করতে হবে, "আমি আল্লাহ তায়ালার জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি।"এই রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজের মতোই নামাজ পড়া যেতে পারে। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোনো সূরা পড়তে হবে। অন্যান্য নামাজের মতোই রুকু, সিজদা করতে হবে। নামাজ শেষে তশাহুদ ও সালাম দিতে হবে।

দোয়া: শবে কদর আর শবে বরাতের যদিও কোনো নির্দিষ্ট দোয়া, রোজা নেই। তবে নামাজের পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, হিদায়াত চাওয়া, রিজিকের বরকত চাওয়া ইত্যাদির জন্য দোয়া করা যাবে যেহেতু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এবং আমাদের একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ:- ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি। (অর্থ: হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।)

হেদায়াতের জন্য যে দোয়া: ইহদিনা الصِّراطَ المُستَقِيمَ। (অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন।)রিজিকের দোয়া: رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا (রাব্বি জিদনি ইলমান) (অর্থ: হে আমার রব, আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।)

শবে বরাতে আরো কি করা যায়? এই দিনে আপনি অবশ্যই যা করবেন তা হলো:-

  • কুরআন তিলাওয়াত করা শবে বরাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
  • বেশি বেশি করে মহান আল্লাহর পবিত্র নাম সমুহ গুলো জিকির করা শান্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি উপায়।
  • দান-খয়রাত করার জন্য ইসলামে উৎসাহিত করা হয় সবাইকে।

লেখকের শেষ কথা- শবে বরাত ২০২৫ কবে

লেখকের শেষ কথা- শবে বরাত ২০২৫ কবে। আশা করছি যে "শবে বদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন" পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এরকম পোস্ট আপনি যদি আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url