তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার উপায়

 ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা একটা প্রতিযোগীতা স্বরূপ কিন্তু একটা ভালো অভ্যাস পারে এটি সহজে বাস্তবে রুপান্তর করতে। দ্রুত ঘুম থেকে উঠার একটি ভালো বেনিফিট কি জানেন? সারাদিন বেশি সময় পাওয়া যায়। 




তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার ফলে আপনি প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সকালে উঠে আপনি এক্সারসাইজ করতে পারবেন। আপনার কাজ দ্রুত শেষ করতে পারবেন এবং স্কুল/কলেজ/ অফিস যেতে পারবেন। 

পোস্টের সূচিপত্র :


  • সকালে ঘুম থেকে উঠার সঠিক সময় 
  •  দ্রুত ঘুম থেকে  উঠার জন্য একটা  উপযুক্ত নিয়ম তৈরি করুন 
  • দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম ব্যবহার করুন 
  • দ্রুত ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস ধীরে ধীরে করুন 
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারি কাজ পরিত্যাগ করুন 
  • ঘুমানোর জায়গা ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখুন 
  • দিনের সময় নির্দিষ্ট সময় অব্ধি ঘুমানো 
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা খাবেন না
  • দ্রুত ঘুম থেকে উঠার জন্য একটি সঙ্গী খুঁজুন
  • ঘরে সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করুন 
  • দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার জন্য যে নিয়ম গুলো মেনে চলবেন 

 সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঠিক সময় 

সকালে ঘুম থেকে দুটো উঠার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় করতে হবে আর সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঠিক সময় হলো ৫:০০ থেকে ০৫:৩০। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার জন্য আপনাকে এত তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে। মেরিনাম থেকে ৮ ঘন্টা আপনার ঘুমানোর প্রয়োজন। আপনি সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে পারবেন যদি আপনি দ্রুত ঘুমাতে যান।

দ্রুত ঘুম থেকে   উঠার জন্য একটা  উপযুক্ত নিয়ম তৈরি করুন 

ঘুম থেকে দ্রুত উঠার জন্য সর্বপ্রথম একটি উপযুক্ত নিয়ম তৈরি করুন এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে ওঠার প্র্যাকটিস করুন। একটি নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করুন। সেটি ফলো করে চলুন। যে টাইমে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত ঠিক করবেন সেই টাইমে প্রত্যেকদিন ঘুমানোর  আপনার অভ্যাস করুন এবং সেই টাইমেই ঘুম থেকে উঠুন। এই নিয়ম মেনে চললে আপনি দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। 

দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম ব্যবহার করুন 

দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্ম সেট করে রাখুন এবং সেভ করা আ্যলার্ম আপনার বিছানা থেকে অনেক দূরে রাখুন। আপনাকে উঠে সেটা বন্ধ করতে হয় এর ফলে আপনার ঘুম অনেকটাই হালকা হয়ে  যাবে। আর যদি আপনার বিছানার কাছে রাখেন তাহলে আ্যলার্ম বাজার পর কিছুক্ষণ পর বন্ধ করে আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়বেন। এজন্য দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে আ্যলার্ম অনেকটাই কার্যকর। 

দ্রুত ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস ধীরে ধীরে করুন 

যদি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস ধীরে ধীরে করা উচিত কোন কাজই তাড়াতাড়ি করা উচিত নয়। তাড়াতাড়ি করা কাজ কখনোই ভালো হয় না। এর জন্য আপনি যে সময় ঘুম থেকে ওঠেন একদিন চেষ্টা করবেন তার ৩০ মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করার। এর ফলে ধীরে ধীরে আপনি দ্রুত ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করতে পারবেন। আর হঠাৎ অতিরিক্ত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করলে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারি কাজ পরিত্যাগ করুন 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী কাজ পরিত্যাগ করবেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমাদের মানসিক চাপ ও যে কোন স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হবে। এর ফলে আমাদের ঘুম ভালো হবে। যতদূর সম্ভব ভারী কাজকে পরিত্যাগ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব সময় হালকা কাজ করা উচিত। এতে আপনার ক্লান্তীয় লাগবেনা আর ঘুম ভালো হবে। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার ফ্রেশ লাগবে। 

ঘুমানোর জায়গা ঠান্ডা এবং আরামদায়ক রাখবেন 

আপনি যে রুমে ঘুমাবেন সেই রুমের তাপমাত্রা ৬০ থেকে ৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে আপনার ঘুমাতে ভালো সুবিধা হবে। আপনি যে বিছানায় ঘুমাবেন সেটা সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন আরফিল্য নরম রাখার চেষ্টা করবেন যাতে আপনার ঘাড়ে ব্যথা না হয় আর ঘুমাতে সুবিধা হয়। আপনার ঘুমানোর স্থান যাতে বিশেষভাবে আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। 
ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা খাবেন না 

দিনের সময় নির্দিষ্ট সময় অবধি ঘুমানো 

দিনের সময় নির্দিষ্ট সময় অবধি ঘুমানো উচিত। দিনের দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমানো উচিত নয়। কোন কারণে যদি রাতে ঘুমাতে না পারেন তাহলে দিনে অল্প সময়ের জন্য ঘুমাতে পারেন। আর আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে দিনে ঘুমান তাহলে এটি আপনার শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর জন্য আপনি বিকালে অল্প সময় যেমন ২০ থেকে ৩০ মিনিট অবধি ঘুমাতে পারেন। 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা খাবেন না

ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনোই চা বা কফি খাওয়া উচিত না। চা বা কফি খাওয়ার ফলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে যার কারনে আপনি সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না । চা ঘুম ভাঙতে সাহায্যে করে এবং আপনাকে অ্যাক্টিভ থাকতে সাহায্যে করবে। চা খাওয়ার ফলে অ্যাডোনোসিনের ইফেক্ট ব্লক করে। চা খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ঘুম থেকে উঠার পর এবং বিকালে। এই কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনোই চা খাবেন না। 

দ্রুত ঘুম থেকে উঠার জন্য একটি সঙ্গী খুঁজুন

দ্রুত ঘুম থেকে উঠার জন্য একটি সঙ্গী খুঁজুন। এই সঙ্গী হতে পারে আপনার পরিবারের মা-বাবা,ভাই- বোন ,দাদা -দাদী,বন্ধু যে কেউই হতে পারে। আপনি তাদেরকে আপনার তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার লক্ষ্য সম্পর্কে বলবেন। এর জন্য আপনাকে এমন কাউকে নির্বাচন করতে হবে যে আপনাকে মোটিভেট করবে।

ঘরে সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করুন 

ঘরে সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করে নিতে আপনার সকল ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে। আপনার বিছানা জানালার কাছে রাখবেন যাতে সূর্যের আলো সোজাসুজি আপনার বিছানাতে পড়ে। এতে আপনার ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতে সুবিধা হবে। ঘর যত অন্ধকার হবে আপনার অলসতা তত বাড়বে। এর জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা করবেন ঘরে পর্যাপ্ত আলো পৌঁছানোর। 

দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার জন্য যে নিয়ম গুলো মেনে চলবেন 

রোজা ঘুম থেকে ওঠার জন্য যে নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলবেন তা হলো:
  • বেশি রাত পর্যন্ত টেলিভিশন বা মোবাইল ফোন দেখবেন না। 
  • আপনি যে ঘরে ঘুমাবেন সেই ঘর থেকে টেলিভিশন মোবাইল ফোন দূরে রাখুন। 
  • রাতের খাবার নয়টার আগে খেয়ে নেবেন এবং খাওয়ার পর একটু হাঁটাচলা করবেন দিয়ে ঘুমাতে যাবেন। 
  • অল মোস্ট ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমাবেন। 
  • ঘুম থেকে দ্রুত উঠার জন্য আগে ঘুমিয়ে পড়বেন। ঘুমানোর আগে ভারী কাজ করবেন না।
  •  দ্রুত ঘুম থেকে উঠে আপনার যে কাজ পছন্দ সে কাজ আগে করবেন। 
  • শোয়ার জায়গা অবশ্যই আরামদায় হতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url