আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের অনেক সময় তাদের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হয়। এইটি অনেক সময় আমাদের মানসিক ভাবেও কষ্টকর হয়ে যায়। এর জন্য প্রয়োজন আপনার অতিরিক্ত ওজন কমানো।
আপনি যদি ও আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান আর আপনি যদি অতিরিক্ত জন কিভাবে পারলেন তার না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই।তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নি কিভাবে আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন দ্রুত ও খুব সহজে কমাবেন।
পোস্টের সূচিপত্র :
ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
ওজন কমাতে ব্যায়াম করুন
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
পরিমাণ মতো ঘুমান
মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন
তৈলাক্ত খাওয়ার থেকে বিরত থাকো
অতিরিক্ত ওজনের ক্ষতিকর দিক
ওজন কমানোর সুবিধা গুলো
এক মাসে কত কেজি ওজন কমানো যায়
১০ দিনে ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায় জেনে নিন
কোন লক্ষ্য অর্জন করতে চাইলে আমাদের সেই কাজের প্রতি পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিকল্পনা ব্যতীত আপনি কোন লক্ষ্য সঠিকভাবে অর্জন করতে পারবেন না। কিন্তু আমার দৃঢ় পরিকল্পনা করেও অনেক সময় আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। কারন আমাদের মনোবল দুর্বল আমাদের মনোবলকে শক্ত হতে হবে যতক্ষণ না লক্ষ্য অর্জন হবে ততক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তেমনি আপনার লক্ষ্য যদি দ্রুত অর্জন কমানোর হয়ে থাকে। সেই লক্ষ্য স্থির রেখে আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে।আপনি যদি ওজন কমানোর লক্ষণ ঠিক করে রাখেন এবং সে অনুযায়ী করে ব্যায়াম করেন এবং ডায়েট কন্ট্রোল করেন সে হিসেবে আপনি খুব দ্রুত আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন খুব সহজেই।
ওজন কমাতে ব্যায়াম করুন
ওজন কমাতে ব্যায়াম করুন।ব্যায়াম হলো ওজন কমানোর চাবি।এটি আপনার ক্যালরি কমায়,মাত্রই তৈরি এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ও ঘটায়। ওজন কমাতে আপনার প্রতিদিন অন্তত ৪৫-৬০ মিনিট যোগব্যায়াম করা উচিত। কিছু কার্যকরী ব্যায়াম হলো :-
হাঁটা
জগিং করা
সাঁতার কাটা
নাচ
জাম্প রোম্প
ভ্রমণে যেতে পারেন
উবু হয়ে ব্যায়াম
পুস আপ
১০ দিনে ওজন কমানোর উপায়
১০ দিনে ওজন কমানোর উপায় অবলম্বন করা আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে আপনি খুব সহজেই ওজন কমাতে পারবেন।কিন্তু আপনার শরীর দূর্বল হয়ে পড়বে ও কর্মশক্তি হারিয়ে ফেলবেন।আপনি এই কয়েকদিনে কিছু না খেয়ে শুধু পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ওজন কমাতে পারবেন। ১০ দিনের ওজন কমায় না কখনো সম্ভব নয় এছাড়া। ওজন কখনো হুট করে বায়না এবং কমেও না। অর্জন বাড়তে বা কমতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। হুট করার জন্য বানানো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
আপনি যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে।পর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে আপনার ক্ষুধা কম পাবে।এতি আপনার দেহে অল্প পরিমাণে ক্যালরি প্রবেশ করবে।আপনার যদি পানি খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে আপনি অল্প পরিমাণে পানির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে আপনার এটা অভ্যাসে পরিণত হবে তখন আর অসুবিধা হবে না।
পরিমাণ মতো ঘুমান
মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন
মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন যদি আপনি আপনার ওজন কমাতে চান। ওজন কমাতে চাইলে আপনার খাদ্য ভাস পরিবর্তন করা উচিত। কারণ মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের ওজন বাড়তে সাহায্যে করে। এগুলো উচ্চ ক্যালরি যুক্ত আর আমাদের শরীরে মেদের সৃষ্টি করে। তাই সকল মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
তৈলাক্ত খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন
তৈলাক্ত খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন ওজন কমাতে চাইলে। আপনি যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনার খাদ্য অভ্যাস চেঞ্জ করুন। আপনি যদি আপনার খাদ্যভাস চেঞ্জ করেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ওজন কমাতে পারবেন।আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম করেন এবং তার সাথে বিরিয়ানী, বার্গার,পিজ্জা বা অন্য ভাজাপোড়া খান তাহলে আপনার ওজন কখনোই কমবে না। ওজন কমাতে চাইলে নিয়মমতো খাবার খেতে হবে।
অতিরিক্ত ওজনের ক্ষতিকর দিক
অতিরিক্ত ওজনের ফলে শ্বাসকষ্ট হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে । অতিরিক্ত ওজন ঘুমের সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে, যা ওজন কম থাকলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয় না। অতিরিক্ত ওজন ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবন্নতি ঘটে। অতিরিক্ত ওজন কমলে আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং মানসিক চাপ বেড়ে যায় । ওজন কমালে শরীরে শক্তি হ্রাস পায় এবং শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। যেকোনো কাজ করতে অনীহা প্রকাশ পায় । অতিরিক্ত ওজনে শরীর ভারী হয় এবং কাজ করার ক্ষমতা থাকে না।
ওজন কমানোর সুবিধা গুলো
ওজন কমালে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় । অতিরিক্ত ওজনের কারণে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয় যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাক। ওজন কমলে এই সমস্যাগুলো দূর হয় । ওজন কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শরীরের ওজন কমানোর ফলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখে ।ওজন কমানোর মাধ্যমে আপনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন । কম ওজনে রক্তনালীতে চাপ কমে এবং রক্ত সঞ্চালন সহজ ও দ্রুত হয়, ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় ।অতিরিক্ত ওজন আমাদের দেহের হাড় এবং জয়েন্টের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য অসুখের কারণ হতে পারে। ওজন কমালে এই চাপ কমে যায় এবং আমাদের হাড় ও জয়েন্ট সুস্থ থাকে।ওজন কমার ফলে শ্বাসকষ্ট কমে যায় এবং ঘুম ভালো হয়। অতিরিক্ত ওজন ঘুমের সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে, যা ওজন কমলে আর হয় না।
এক মাসে কত কেজি ওজন কমানো যায়
এক মাসে কত কেজি ওজন কমানো যায় -এক মাসে তত কেজি ওজন কমবে যত কেজি আপনি আপনার খাওয়ার থেকে বাদ দেবেন এবং পরিশ্রম করবেন। এ কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। আপনি যদি আশা করেন কে এক মাসে ১০ কেজি ওজন কমায় ফেলবেন তা সুস্থ থেকে কখনোই সম্ভব নয়। এর ফলে আপনি অসুস্থ হয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url